header

কিভাবে ল্যাপটপ এসেছিলো জানেন কি?

ফাস্ট ল্যাপটোপ
ল্যাপটপ কি?

আগে জানা প্রয়োজন ল্যাপটপ কি তাই আগে ধারনা দিচ্ছি  
একটি ল্যাপটপ বা একটি নোটবুক হল বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা দেখতে ঝিনুক আকৃতির এবং ভ্রমণ উপযোগী। ল্যাপটপ এবং নোটবুক উভয়কে পূর্বে ভিন্ন ধরা হত কিন্তু বর্তমানে তা মানা হয় না। ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় এবং ব্যক্তিগত বিনোদনের কাজে।

একটি ল্যাপটপ কম্পিউটারে ডেস্কটপ কম্পিউটারের সমস্ত উপাদান এবং সকল ইনপুটগুলোকে একত্রিত করা হয়। যেখানে শুধুমাত্র একটি যন্ত্রে প্রদর্শনী, স্পিকার, কিবোর্ড এবং টাচপ্যাড বা ট্র্যাকপ্যাড থাকে। বর্তমানের বেশিরভাগ ল্যাপটপের সঙ্গেই থাকে ওয়েবক্যাম এবং মাইক্রোফোন। একটি ল্যাপটপ চালানো যায় ব্যাটারি এবং এসি এডাপ্টারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সরাসরি সংযোগে। ল্যাপটপের মডেল, প্রকারভেদ ও উৎপাদনের উপর হার্ডওয়্যারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।

বহনযোগ্য কম্পিউটারগুলোকে পূর্বে ছোট একক বাজার হিসেবে গন্য করা হত এবং এগুলো বিশেষ ধরনের প্রায়োগিগ কাজে ব্যবহার করা হত যেমন সৈনিকদের কাজে, হিসাববিজ্ঞানেরর কাজে, বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রয়োজনে ইত্যাদি। এগুলো পরে আধুনিক ল্যাপটপে পরিণত হয়। এগুলো আকারে আরো ছোট, পাতলা, সস্তা, হালকা এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে থাকে ফলে বহুমুখী কাজে এদের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়

চলুন এখন সুচনা লগ্ন সম্পর্কে জেনে আছি? 

১৯৭১ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সম্ভাবনার সাথে সাথে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পউটারের চাহিদার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এলান কে ১৯৬৮ সালে জেরক্স পার্কে একটি "ব্যক্তিগত, বহনযোগ্য নিজের কাজে তথ্য ব্যবহার করা যায়" এমন যন্ত্র হিসেবে কল্পনা করেন এবং তার গবেষনাপত্র "ডায়নাবুকে" ১৯৭২ সালে বর্ণনা করেন।

আইবিএমের বিশেষ এপিএল মেশিন পোর্টেবল (এসসিএএমপি) কম্পিউটারটি দেখানো হয় ১৯৭৩ সালে। এই পরীক্ষামূলক যন্ত্রটি আইবিএমের পালম প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।

আইবিএম ৫১০০, প্রথম বানিজ্যিক বহনযোগ্য কম্পিউটার। এটি বাজারে আসে ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এর ভিত্তি ছিল এসসিএএমপি পরিক্ষামূলক যন্ত্রটি।

৮ বিটের সিপিইউ ব্যবহৃত হওয়া শুরু করলে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অসবর্ন ১, ছাড়া হয় ১৯৮১ সালে, এতে ব্যবহার করা হয় জিলোগ জেড৮০ আর ওজন ছিল ২৩.৬ পাউন্ড (দশ কেজির মত)। কোন ব্যাটারি ছিল না, একটি ৫ ইঞ্চি (১৩ সে.মি.) সিআরটি প্রদর্শনী এবং ৫.২৫ ইঞ্চি (১৩.৩ সে.মি) দ্বৈত একক ঘনত্বের ফ্লপি ড্রাইভ ছিল। একই বছরে প্রথম ল্যাপটপের আকারের বহনযোগ্য কম্পিউটারের ঘোষণা আসে, এটি ছিল এপসন এইচএক্স-২০। এর মধ্যে এলসিডি প্রদর্শনী, পুনরায় চার্জ দেয়া যায় এমন ব্যাটারি, ক্যালকুলেটর আকারের প্রিন্ট্রার চেসিস ছিল। ট্যান্ডি/রেডিওশেক এবং এইচপি উভয়েই বিভিন্ন নকশার বহনযোগ্য কম্পিউটার উৎপাদন করে।

১৯৮০ দশকের শুরুর দিকে প্রথম ভাঁজ করা যায় এমন ল্যাপটপ দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ডুলমন্ট ম্যাগনাম ছাড়া হয় ১৯৮১-৮২ সালের দিকে, কিন্তু ১৯৮৪-৮৫ সালের পূর্বে বিশ্বব্যাপি এটি বাজারজাতকরন করা হয়নি। ১৯৯২ সালে জিআরআইডি বা গ্রিড কমপ্যাস ১১০০ ছাড়া হয়। এটি নাসা ও সৈনিকদের কাজে ব্যবহৃত হত। গ্যাভিলান এসসি, ১৯৮৩ সালে বাজারের আসে, যা প্রস্তুতকারক ল্যাপটপের মধ্যে প্রথম হিসেবে অভিহিত করে। ১৯৮৩ সালের পর নতুন ইনপুট ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়, যার মধ্যে ল্যাপটপেরও ইনপুট যন্ত্রাংশ ছিল, যেমন টাচপ্যাড (গ্যাভিলান এসসি), নির্দেশক কাঠি (আইবিএম থিঙ্কপ্যাড ৭০০, ১৯৯২) এবং হাতের লেখা সনাক্তকরন (লিনাস রাইট-টপ, ১৯৮৭)]। এসময় কিছু সিপিইউ এমনভাবে বানানো হয় যাতে এগুলো কম বিদ্যুত শক্তি ব্যবহার করে, ফলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। এবং কিছু ল্যাপটপের প্রস্তুত নকশায় কাজে সহায়তা করার জন্য কিছু সক্রিয় শক্তি ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্যও ছিল যেমন ইন্টেল স্পিডস্টেপ এবং এএমডি'র পাওয়ারনাও ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য।

১৯৮৮ সাল নাগাদ প্রদর্শনী ভিজিএ রেজুলেশনে পৌছায়। উদাহরনসরূপ উল্লেখ্য করা যায় কমপেক এসএলটি/২৮৬। এবং রঙিন প্রদশর্নীগুলোর প্রচলন শুরু হয় ১৯৯১ সালের দিকে, ২০০৩ সালে ১৭" প্রদশর্নী আসার আগে পর্যন্ত, রেজুলেশনে এবং প্রদশর্নীর আকারে ব্যাপক পরিবর্তন হতে থাকে। এসময় হার্ডড্রাইভের (১৯৮০ সালের শেষের দিকে প্রস্তুতকৃত ৩.৫" মাপের ড্রাইভের ধারাবাহিকতায়) ব্যবহার শুরু হয়। এক সময় ২.৫" ড্রাইভ ল্যাপটপে সাধারনভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ২০০০ দশকের শুরু থেকেই অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর ব্যবহার হতে থাকে যেমন সিডি রম, রাইটেবল সিডি রম, পরে ডিভিডি রম, রাইটেবল ডিভিডি রম, তারপরে ব্লু-রে ড্রাইভ।

বর্তমান সময় এটা  ব্যবহার বেরেই চলেছে। কারন সহজ এবং সহজ লভ্য জিনিস ব্যবহার করা সুভিধা জনক। তাই ন্যানোটেকনোলোজি অবদান সার্বক্ষণিক৷


পরিশেষে বলিতে চাই  আামরা প্রযুক্তির দিকে ঝুকে পরছি ফল সরুপ নিজের প্রতি নিজ সন্তান প্রতিও খেয়াল রাখছেন না তাই উচিত আমার ব্যবহার করব তবে কাজের ক্ষেত্রে।।

No comments

Thank you.

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Theme images by kevinruss. Powered by Blogger.